বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন

বর্ষাকালে কনজাংকটিভাইটিস

বর্ষাকালে কনজাংকটিভাইটিস

স্বদেশ ডেস্ক:

বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি যে রোগটি হয়ে থাকে তার নাম হলো, কনজাংকটিভাইটিস। এটি একটি ছোঁয়াচে ধরনের রোগ। রোগের লক্ষণ : চোখের নিচের অংশ লাল হয়ে যায় এবং চোখে বেশ ব্যথা করে। এ রোগে আক্রান্ত হলে আরও যেসব লক্ষণ দেখা যায় তা হলো- এ অসুখ প্রথমে এক চোখে হয়। পরে অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে।

অবশ্য এটা প্রচলিত আছে যে, কনজাংকটিভাইটিস রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে হয়। এ রোগের ভাইরাস বাতাসে থাকে এবং এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চারপাশে যারা থাকেন, তারাও এ অসুখে আক্রান্ত হন। চোখ থেকে ক্রমাগত পানি পড়তে থাকে। চোখের নিচের অংশ ফুলে যায় এবং লাল হয়ে যায়। চোখ জ্বলে এবং চুলকায়। আলোয় চোখে কষ্ট হয়।

করণীয় : কিছুক্ষণ পর পর চোখে ঠা-া পানির ঝাপটা দিতে হবে। তবে পানির ঝাপটা দেওয়ার আগে হাতটা ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ভেজা চোখ টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে এবং টিস্যু পেপারটি অবশ্যই ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। নইলে আপনার ব্যবহার করা টিস্যু পেপার থেকে সংক্রমণ ঘটতে পারে। চশমার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে আপনার চোখ ভুলবশত হাত লেগে যাওয়া এবং ধুলো ধোঁয়া থেকে বাঁচবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ চোখে দিতে হবে। নিজের ব্যবহার করা প্রসাধন সামগ্রী অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া ঠিক হবে না। এ সময় অন্যের ব্যবহার করা প্রসাধন সামগ্রীও নিজের ব্যবহার করা উচিত হবে না। মোটকথা, নিজের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিনিসপত্র অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না এবং অন্য কারো ব্যবহার্য জিনিস নিজেরও ব্যবহার করা যাবে না।

যা করা যাবে না : চোখ ঘষে চুলকানো যাবে না। অন্য কারো আই ড্রপ ব্যবহার করা উচিত হবে না। এর ফলে আবার কনজাংকটিভাইটিস হতে পারে। নিজের ব্যক্তিগত সামগ্রী বাকিদের সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। সম্ভব হলে আলাদা বাথরুম ব্যবহার করতে হবে।

লেখক : চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877